প্রতিটি বাচ্চা স্কুলে পড়াকালীন একবার হলেও ক্লাস মনিটর হওয়ার স্বপ্ন দেখে। যাতে পুরো ক্লাসে তার একটা আলাদা পরিচয় থাকে। তবে প্রতিটি বাচ্চার ক্লাস মনিটর হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় না। প্রতিটি বাচ্চার ক্লাস পরিচালনা করার ক্ষমতা বা প্রতিভা থাকে না।
তবে আজ আমরা এমন এক বাচ্চাকে নিয়ে কথা বলতে চলেছি যে ক্লাস মনিটর হওয়ার বয়সে একটি কোম্পানির সিইও হয়ে গেছে। একজন নয় বছরের বাচ্চা থেকে আপনি কি আশা করতে পারেন যে সে স্কুল যাবে পড়াশোনা করবে। তবে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা অদৈত্য ঠাকুর, সে পড়াশোনা খুব একটা ভালো ছিল না।
কিন্তু সে নিজের একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে ছিল। সে আগের বছরই তার সংস্থাটি চালু করে এবং সে এখন এই কোম্পানির সিইও পদে নিযুক্ত হয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে এত ছোট বয়সে সে সাফল্য কি করে অর্জন করল। অদৈত্যর বাবা রবীন্দ্র ঠাকুর পেশায় একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, তাই তাঁর গুণ গুলি সম্ভবত তার ছেলের মধ্যে ও এসেছিল।
রবীন্দ্র বাড়িতে বসে কম্পিউটারে কোডিং এর কাজ করতেন তখন অদৈত্য সেটি দেখতেন। পরে নিজের ছেলের এই কৌতুহলীতার কথা এবং ইচ্ছার কথা তিনি বুঝতে পারেন এবং তাকে 6 বছর বয়স থেকেই কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা দিতে থাকেন। সে ছোটবেলায় খেলনা দিয়ে খেলার জায়গায় কম্পিউটার এবং কিবোর্ড নিয়ে খেলত।
এরপর সে নয় বছর বয়সেই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলেছিল। সে ইন্টারনেটে একটি সলিউশন ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলো। তার এই ওয়েবসাইটটি এত জনপ্রিয় হয়েছিল যে সে একটি সংস্থা খোলে। সে তার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা বাড়ানোর কথা ভেবেছিল এবং সে তার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দুজন ক্লায়েন্ট পেয়েছিল।
তার নিজস্ব সংস্থা শুরু করার পরে অদৈত্য গুগলের এআই এবং ক্লাউড সহ বেশ কয়েকটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে কাজ করেছে, যা অদৈত্যের সংস্থার জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করেছিল। অদৈত্য তার চিন্তাভাবনা এবং কঠোর পরিশ্রমের কারণে 2018 সালে শীর্ষে ছিলেন 10 ভারতের তরুণ উদ্যোক্তাদের তালিকায় তাদের নাম প্রবেশ করেছে।