কলেজে কম মার্কস পেয়ে স্যার বলেছিলেন জীবনে কিছু করতে পারবি না, আজ অস্ট্রেলিয়ায় 10 কোটি টাকার কোম্পানি তৈরি করল সেই ছাত্র

বলা হয় যে, প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটা স্বপ্ন থাকা উচিত এটা একেবারে সত্যি কথা। যখনই আমাদের জীবনে লক্ষ্য থাকে আমরা এটির জন্য একটি নতুন পথ অনুসরণ করতে থাকি। কিন্তু এই নতুন পথে হাঁটতে অনেক অসুবিধা থাকে। আজ এমনই একজন মানুষের কথা আমরা আপনাকে বলব, যিনি পুরোপুরি উৎসাহ সাহসের সাথে এই পথে হেঁটেছেন এবং সাফল্য পেয়েছেন।

যার স্বপ্নগুলি অনেক বড় ছিল তবে পকেটে একটি টাকাও ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে সেই স্বপ্ন গুলিকে বাস্তব হতে দেখা তার পক্ষের চ্যালেঞ্জ এর চেয়ে কম ছিলনা। আসুন জেনে নেওয়া যাক কে সেই ব্যক্তি এবং তার স্বপ্ন কি ছিল। তিনি হলেন আমির কুতুব যার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আলীগড়ে। যার পরিবারটি মধ্যবিত্ত ছিল যার ফলে তার আলাদা পথ অবলম্বন করা কখনো সম্ভব হয়নি।

তবে আমিরের বাবা চেয়েছিলেন তার পুত্রটি পড়ালেখা করে একজন দুর্দান্ত অফিসার হয়ে তার নাম উজ্জ্বল করুক। তবে আমিরের পড়াশোনা মোটেই ভাল লাগত না। দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করার পরে আমির পাশের একটি কলেজে বিটেক এ ভর্তি হন। কিন্তু এখানেও তার পড়াশোনার প্রতি মনোভাব দেখে তার শিক্ষক তাকে বলেছিলেন যে সে সারা জীবনে কিছু করতে পারবে না।

যাই হোক তিনি বিটেক শেষ করার পরে চাকরির পথ বেছে নিয়েছিলেন। যার মধ্যে প্রথম কাজটি পেয়ে ও তিনি করেননি। কিন্তু দ্বিতীয় কাজটি তাকে জোরপূর্বক করতে হয়েছিল। তবে এই কাজেও তার মন ছিল না। পারিবারিক চাপের কারণে সে কাজটি করছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি এই চাকরিটি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করেন।

এই গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজে তার অনেক ক্লাইন্ট অস্ট্রেলিয়ার সাথে যুক্ত ছিল। একজন ক্লায়েন্ট তার কাজে এতটাই খুশি হয়েছিল যে তিনি তাকে দিয়ে একটি ব্যবসা খোলাতে চেয়ে ছিলেন যার জন্য তিনি তাঁকে অস্ট্রেলিয়া আস্তে আহ্বান জানান। তাই আমি তার কথা শুনে খুব মুগ্ধ হয়েছিল। আমির যখন অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তখন তিনি জানতে পারলেন যে কেবল স্টুডেন্ট ভিসার সাহায্যে তিনি অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন।

এমন পরিস্থিতিতে আমির এমবিএ-তে ভর্তি হন যাতে তিনি স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন। আমির, একটি বড় ব্যবসা করতে চাইছিলেন সে তার ইচ্ছে পূরণের দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে যান। নতুন পথে হাঁটতে কখনও দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে নিজের পছন্দমত পথ নিজেই তৈরি করা উচিত। আমির যে কিনা কোন দিন ভাবিও নি যে সে তার শহর ছেড়ে কোনদিন বাইরে যাবে।

সে আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেলেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে সেই দিনটি এসেছিল যা তিনি কলেজ সময় স্বপ্ন দেখেছিলেন। একদিন একটি বাসে ভ্রমণের সময় এমন একজনকে খুঁজে পেলেন যিনি তাকে প্রতিমাসে 5000 ডলার এর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। বাজেটের পাশাপাশি সেই ব্যক্তি তাকে আরো বেশি ক্লাইন্ট পাইয়ে দিয়েছিল। বর্তমানে আমি রে বার্ষিক টার্নওভার 10 কোটি ছাড়িয়েছে।

বিদেশে যাওয়ার পরে যখন তিনি দেখলেন যে, ভারতী সংস্থায় কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা এখানে কাজে আসে না। তখন তিনি বিমানবন্দর পরিষ্কার করার কাজ পান। তারপর তিনি সংবাদ পত্র বিতরণ করা শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর এখন অবস্থা উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। এই কঠিন লড়াই হার না মেনে তিনি নিজের স্বপ্নকে পূরণ করেছেন তার এই কাহিনী অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণাদায়ক।

আরো পড়ুন

শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে বাবা মায়ের কিছু ভুলের কারণে

বাবা মায়ের সামান্য একটু ভুলের কারণে তার সন্তানকে আজীবনের জন্য কষ্ট করতে হয় এবং নিন্দা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *