বাড়ির পুকুরে মাছ চাষে এত পরিমান মাছ হয় যার ফলে পানি দেখা যাচ্ছে না, লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম যুবকের! তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:এই ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে ভিন্ন পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় অল্প সময়ে এবং কম খরচে বায়োফ্লক সিস্টেমে চৌবাচ্চার মধ্যে তেলাপিয়া মাছ চাষ করা যায় ।এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পুকুর না থাকার কারণে মাছ চাষ করা হয়না।

কিন্তু বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে আপনার পুকুর এর প্রয়োজন হবে না। বাড়ির আঙিনায় ছোট একটি চৌবাচ্চায় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আপনার চাষ করতে পারেন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

এটি একটি আধুনিক পদ্ধতি। প্রচলিত পদ্ধতিতে যেখানে বাড়তি খাবারের একটি বড় অংশই অপচয় হয় যা পুকুরে জমে গিয়ে পানির গুণাগুণ নষ্ট করে দেয়, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে এ অপচয় প্রায় শূন্য। এমনকি খুব কম পানি পরিবর্তন করে বা একবারও পানি পরিবর্তন না করে ছোট চৌবাচ্চার মধ্যে বেশি ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়।কিন্তু আমাদের দেশে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষ এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি। তাই আমাদের দেশে সচরাচর চাষকৃত মাছ যেমন- তেলাপিয়া, রুই, শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা ও চিংড়ীসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যেতে পারে।

তবে, যারা নতুন করে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষ শুরু করতে চান তাদের অবশ্যই প্রথমে তেলাপিয়া, শিং ও মাগুর মাছ দিয়ে চাষ শুরু সমীচীন হবে।আমরা সাধারণত পুকুরে মাছ চাষ করে থাকি। এক্ষেত্রে মাছের ঘনত্ব খুবই কম থাকে।

পুকুরে মাছ চাষ করলে যখন খাবার প্রয়োগ করা হয় অধিক জায়গা হওয়ার কারণে তখন খাবারের বড় একটি অংশ অপচয় হয়। যা পরবর্তীতে নষ্ট হয় পুকুরের পানি দূষণ করে থাকে। এবং এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে জায়গার অপচয় কম হয়। চাইলে খুব কম জায়গায় অধিক মাছ চাষ করা যেতে পারে।

আজকের এই ভিডিওটিতে তেলাপিয়া মাছের বায়োফ্লক পদ্ধতিতে চাষের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।এত বড় মাছ যে মাছের জন্য পানি দেখা যাচ্ছে না। এখানে খাবার প্রয়োগ করার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। মাছের এই দৃশ্যগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। এই ভিডিওটি যখন ইন্টারনেটে আপলোড করা হয় তখন মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এবং এই ভিডিওটি দেখে অনেক মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য। যদিও এই পদ্ধতিটি আমাদের দেশে নতুন যার কারণে অধিকাংশ মানুষ এই বিষয়টি অজানা রয়ে গেছে।এটি এমন একটি অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেম যা পুষ্টি উপাদানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে।

অর্থাৎ প্রচলিত পদ্ধতিতে যেখানে বাড়তি খাবারের একটি বড় অংশই অপচয় হয় যা পুকুরে জমে গিয়ে পানির গুণাগুণ নষ্ট করে দেয়, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে এ অপচয় প্রায় শূন্য। এমনকি খুব কম পানি পরিবর্তন করে বা একবারও পানি পরিবর্তন না করে ছোট চৌবাচ্চার মধ্যে বেশি ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়।

আমরা সচরাচর পুকুরে যেভাবে চাষ করে থাকি ঐ পদ্ধতিতে মাছের জন্য আলাদাভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হয়না। কিন্তু বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় মাঝে মাঝে পানি পরিবর্তন করতে হয় এবং সবসময় অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়।

এই পদ্ধতিতে বেশীরভাগ হাইব্রিড মাছের চাষ করা হয়ে থাকে। আপনারা যারা এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ইন্টারনেটে চাষ করার পদ্ধতি সহ লাভ ক্ষতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া আছে। আপনারা চাইলে ইন্টারনেট থেকে তা সংগ্রহ করে চাষ করতে পারেন।

আরো পড়ুন

বাচ্ছা ছেলেটি অসাধারন কায়দায় ধান ক্ষেতে মধ্যে বড়শির টোপ ফেলতেই লঙ্কা কান্ড। একের পর এক ছিপে আটকাতে পুচকের বরশিতে। পিচ্চি ছেলের এমন মাছ ধরা দেখে প্রশংসা নেটিজেনদের

নিজস্ব প্রতিবেদন:ভারতীয় সমুদ্রে একেবারে উপকূলবর্তী অঞ্চল হওয়ায় বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক সম্পদের অধিকারী। বাংলাদেশের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *