সাধারণ মানুষ চিরকালই ডাক্তারকে এবং ভগবানকে একই আসনে বসিয়েছেন। যেকোনো রকম বি’পদ থেকে একমাত্র ডাক্তার উ’দ্ধার করতে পারবেন, এমনটাই মনে করেন প্রত্যেক মানুষ। কিছু কিছু ডাক্তার সত্যিই এমন থাকেন, যাদের দেখলে মনে হবে তারা সত্যি ভগবানের স্বরূপ। এমনই একজন ডাক্তারের নাম আনপ্পা বালী। তিনি ৫০ বছর আগেও যা কাজ করতেন, আজও তাই করে যাচ্ছেন। নাক কান এবং গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বয়স ৭৯ বছর। তিনি এখনো সকাল সাড়ে দশটায় প্রত্যেকদিন তার চেম্বার খুলেন, বন্ধ করেন সন্ধে ছটায়।
মাঝখানে নেন একটি ছোট্ট বিরতি। এরপর আবার সন্ধ্যে আটটার সময় তিনি তার চেম্বার খুলেন, বন্ধ করেন রাত দশটায়। প্রত্যেকদিন তিনি প্রায় ৮০থেকে ১০০ জন রোগী দেখে চলেছেন। এই কাজে তার সহায়তায় থাকেন তিনজন ব্যক্তি।
কিন্তু এবার প্রশ্ন হল, প্রত্যেক ডাক্তারের প্রায় প্রত্যেক দিন এই নিয়মে রোগী দেখা চলে। তাহলে এই ডাক্তার বাবুর মধ্যে নতুনত্ব কি??? কেন এই ডাক্তারবাবুকে সকলে ভগবানের চোখে দেখেন?? উত্তর একটাই,তিনি প্রত্যেক রোগের থেকে ফি বাবদ নেন
মাত্র ১০ টাকা।যেসকল রোগীরা একেবারেই দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকে, তাদের থেকে তিনি কোন টাকা নেন না। এই উদারতার পেছনে অনেকটাই দায়ী তার জীবনের কষ্ট দুঃখে বড় হওয়া। একসময় দারিদ্রতা তাকে গ্রা’স করেছিল।
তিনি জানেন যে তার বাবা-মা কতটা কষ্ট করে তাকে ডাক্তারি পড়িয়েছিলেন। পরিবারের কয়েকজন এর সাহায্যে তিনি শেষ পর্যন্ত ডাক্তারি পাশ করেছিলেন। ১৯৯৮ সালের প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করার আগে তিনি কর্নাটকে বেলাগাভি জেলায় গ্রামীণ হাসপাতালে সরকারি ডাক্তার হিসেবে কাজে নিয়োগ হন।
এরপর থেকে একটা নিরলস পরিশ্রম করে আসছেন তিনি। কি ডাক্তার হিসেবে সত্যি ভগবানের রূপ। এইরকম মানুষজনকে মন থেকে শ্রদ্ধা জানাতে ইচ্ছা করে। কুর্নিশ জানাতে হয় এই ভগবান রুপি মানুষকে।