ফেনীতে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে ২০টি সোনার বার লুট করার অভিযোগে মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শকসহ ছয় কর্মকর্তার বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ খান এ আদেশ দেন।
গ্রেফতাররা হলেন, ফেনী ডিবির পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম, এসআই মোতাহার হোসেন, নুরুল হক ও মিজানুর রহমান এবং এএসআই অভিজিৎ বড়ুয়া ও মাসুদ রানা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতারের কথা জানান ফেনীর এসপি খোন্দকার নূরুন্নবী। তিনি বলেন, লুট হওয়া সোনার বারগুলোর মধ্যে ১৫টি উদ্ধার করা হয়েছে।
আদালত আজ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামের চারদিনের এবং বাকি কর্মকর্তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এই ছয় কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করে আজ ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। ফেনী সদর মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন এই তথ্য জানান। শুনানি শেষে আদালত ছয় কর্মকর্তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে এই ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান ফেনীর এসপি খোন্দকার নূরুন্নবী।
পুলিশ সূত্র বলেছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস চট্টগ্রাম শহরের হাজারী গলিতে ব্যবসা করেন। রোববার বিকেলে তিনি ২০টি সোনার বার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনী সদরের ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস এলাকায় ডিবি পুলিশ তার গাড়ি থামায়। পরে তাকে আটক করে সোনার বারগুলো ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় গতকাল ফেনী সদর মডেল থানায় মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ডিবির ওই ছয় কর্মকর্তাকে রাতে গ্রেফতার করা হয়।
গোপাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের জানান, ২০টি সোনার বারের মূল্য ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।