বাবা, এ তুমি কেমন ঘরে আমার বিয়ে দিয়েছো? ২ মিনিট স’ময় নিয়ে গল্পটি প’ড়ুন

মেয়ে তার বাবার কাছে গিয়ে নালিশ করে বললঃ- বাবা,এ তুমি কেমন ঘরে আমা’র বিয়ে দিয়েছো ? বাবাঃ- কেন কি হয়েছে, জামাই কি খা’রাপ ব্যবহার করেছে ? মেয়েঃ- তোমা’র জামাই তো দুই মাস পর পর বাড়ি আসে। স’মস্যার কারণ তো আমা’র শ্বাশুড়ী।

সারাদিন বলে শুধু বৌমা এটা করো, বৌমা ওটা করো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধুই খিট খিট করে যান।আমা’র একটুও ভালো লাগেনা। বাবাঃ- আরে এই বয়সে মানুষ একটু এই রকম ই করেন। মেয়েঃ- না বাবা, ঐ বুড়ি যতদিন পর্যন্ত না মরছে, আমি আর ঐ বাড়িতে ফি’রে যাবো ই না।

বাবাঃ- এই রকম কথা বলতে নেই মা। মেয়েঃ- তুমি তো ডাক্তার,এমন একটা কিছু ওষুধ দাও যাতে ঐ বুড়ি খুব তারাতারি মরে যায়। বাবাঃ- আমি ডাক্তার, কসাই নয়,এ কাজ আমি ক’রতে পারবো না। মেয়েঃ- বাবা তুমি কি চাও না তোমা’র মেয়ে সুখে সংসার করুক?

বাবাঃ- (একটু চিন্তা করার পর) ঠিক আছে মা, তোর মুখের দিকে তাকিয়েই আজ আমি এই কাজ করছি,তোকে আমি একটা ওষুধ দিচ্ছি। এই ওষুধ টা নিয়মিত প্রতিদিন দুই ফোটা করে গরম দুধের সাথে খাওয়াবি। দেখবি এক মাসের মধ্যেই তোর শ্বাশুড়ী মা’রা যাবে। তবে এই এক মাস তুই তোর শ্বাশুরীর খুব সেবা করবি,এটা আমাকে কথা দে।

মেয়েঃ- ঠিক আছে বাবা, কথা দিলাম। মেয়ে ঔষধ নিয়ে আনন্দের সাথে শ্বশুড় বাড়ি চলে গেল। গিয়েই তার শ্বাশুড়ীকে মন দিয়ে সেবা ক’রতে লাগলো আর নিয়মিত ওষুধ দিতে থাকলো। পাঁচ দিন পর শ্বাশুড়ী লক্ষ করলেন যে তার বৌমা আর আগের মত নেই। এখন সে তার আর তার কোন কথার ই অবাধ্য হয় না। আগের মত আর তার উপর বির’ক্ত হয় না।আর খুবই বেশি সেবা করছে।

২০দিন পর শ্বাশুরী তার বৌমাকে নিজে’র মেয়ের মত ভালবাসতে লাগলো। তখন তিনি নিজেই বৌমা’র জন্য স্পেশাল মেনু বানিয়ে খাওয়ালেন। বৌমাকে আর আগের মত কোন কাজে’র জন্য না বলে সেই কাজটা নিজেই সেরে নিতেন বৌমা’র ঘুম ভা’ঙার অপেক্ষা না করে নিজেই চা বানিয়ে বৌমা’র কাছে গিয়ে বৌমা’র ঘুম ভাঙিয়ে তার সামনে চায়ের কাপটা এগিয়ে দিয়ে বললেনঃ- বৌমা চা খাও,দেখো আমি তোমা’র জন্য বানিয়েছি।

বৌমাঃ- কেন, মা আপনি আমাকে ডাকতে পারতেন তো। শ্বাশুড়ীঃ- কি যে বলো বৌমা, তুমি সারাদিন ধ’রে এত খেটে আমা’র সেবা করছো আর আমি এই টুকু ক’রতে পারবো না ?? দিনটা ছিল ২৭তম। এত দিনে শ্বাশুড়ী বৌমা’র স’ম্পর্ক টা মা ও মেয়ের স’ম্পর্কে পরিনত হয়ে গেছে।তখন মেয়েটি তার বাবার কাছে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এসে বললঃ- বাবা তুমি আমা’র শ্বাশুরী মাকে বাঁ’চাও।

আর মাত্র তিন দিন বাকি।আমি চাই না যে আমা’র শ্বাশুরী আমাকে ছেড়ে চলে যাক। উনি যে ঠিক আমা’র মায়ের মত। বাবাঃ- চোখের জল মুছে ফেল মা। আমি জানতাম একদিন তুই তোর ভুল ঠিকই বুঝবি, তাই আমি তোকে কোনো বিষ দিইনি। ঐ ওষুধে তোর শ্বাশুরীর কোন ক্ষ’তি হবে না। mবরং ঐ ওষুধ খেলে শ’রীরে পুষ্টি হবে। যা মা সুখের সংসার কর। মেয়েটি হাসি মুখে বাবাকে সালাম করে বললোঃ

আরো পড়ুন

শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে বাবা মায়ের কিছু ভুলের কারণে

বাবা মায়ের সামান্য একটু ভুলের কারণে তার সন্তানকে আজীবনের জন্য কষ্ট করতে হয় এবং নিন্দা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *