নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্ব অর্থনীতির উপর নির্ভর করে ক্রমশ হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটতে থাকে সোনার দামের। অনেক সময় এই দাম বৃদ্ধিতে অসুবিধায় পড়ে যান সাধারণ মানুষ। কারণ ভারতীয় বাজারে বিয়ের মরসুমে সোনার চাহিদার অতিরিক্ত। বিয়ের অনুষ্ঠান হোক বা যেকোনো অন্যান্য অনুষ্ঠান সোনার গয়না প্রায় অপরিহার্য।
উচ্চবিত্তদের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা বিশেষ ভাবে সৃষ্টি না হলেও সাধারণ মধ্যবিত্তদের জন্য সোনার দাম বৃদ্ধি অনেকটাই সমস্যা ডেকে আনে। সোনার একটা নিয়ম হচ্ছে এটি যে দামে কেনা হয় ঠিক সেই দামে বিক্রি করা যায় না।তাই সংকটকালীন অবস্থায় এই সোনা অনেকটাই কাজে লাগে মানুষের। ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও সোনার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি ভারতবর্ষে করোনা পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের আগমনের প্রাক্কালে এর পরিবর্তন আসলো সোনার দামে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কতটা বাড়লো বা কমলো এই দাম! শুক্রবার দিনের শেষের দিকে Mcx সূচকে প্রতি ১০ গ্রামে ৪ শতাংশ দর পড়ার ফলে ২,০৫০ টাকা কমে সোনার দাম দাড়িয়েছে ৪৮,৮১৮ টাকা।
ফের কিছুদিন ধরে ক্রমাগত বৃদ্ধির পরে সোনার দাম বেশ কিছুটা হারে কমল। এর আগেও সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর দু’দিন সোনার দামের হেরফের হয়েছিল অনেকটাই; যেমন সোমবার দাম হঠাৎ কিছুটা বেড়ে গেলে মঙ্গলবারেই আবার তা কমে যায়।
অপরদিকে সোনার পাশাপাশি পাল্লা রেখে কমেছে রুপোর দাম ও।এমসিএক্স সূচকে ৮.৮% রুপোর দর পতনের জেরে প্রতি কেজিতে ৬,১০০ টাকা কমায় রুপোর দাম এসে দাঁড়িয়েছে ৬৩,৮৫০ টাকা। এই দামের পতনের ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছেন মধ্যবিত্ত সাধারণ সোনার গ্রাহকরা।
তাছাড়াও বর্তমানে জোরকদমে চলছে বিয়ের মরসুম। এই পরিস্থিতিতে সোনার দাম কমায় লাভের মুখ দেখার আশায় রয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। অনেকেই এই দাম হ্রাসের জেরে সোনা কিনবেন বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন।