শখের বসে করা ছাগলের খামারে তিন বছরে ১৫ লাখ টাকার বাজিমাত!

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাম শিবলী নোমান। ২০০১ সালে এসএসসি পাশের পর নানা প্রতিবন্ধকতায় বন্ধ হয়ে গেল পড়াশোনা। জীবিকার তাগিদে ডিশের ব্যবসা থেকে শুরু করে কৃষিক্ষেত, বাদ দেয়নি কিছুৃই। কিন্তু অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা কিছুতেই পাচ্ছিলেন না। ভুগছিলেন হতাশায়। ২০১৬ সালে ছাগল পালনের মতো মামুলী এক শখে বদলে গেল শিবলীর জীবন। তিন বছর পর তিনি এখন ১৫ লাখেরও বেশী মূল্যের বড়সড় এক খামারের মালিক।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা সদরের দক্ষিণবাসুদেবপুর মহল্লার মৃত আলহাজ আব্দুর জব্বারের ছেলে শিবলী নোমান তার বসতবাড়ীর পাশের্^ গড়ে তুলেছেন ছাগলের খামার। নিতান্ত শখের বসেই ৩ বছর পূর্বে দুটি ছাগল ক্রয় করে লালন পালনের পর অল্প খরচে বেশী লাভের মুখ দেখায় মনে মনে সীদ্ধান্ত নেন ছাগলের খামার গড়ে তুলবেন। যেই ভাবনা তেমনি কাজ, হাট থেকে ৪ টি ছাগল ক্রয় করেন।

এরপর নিজেই ছাগলের পরিচর্যা করতে থাকেন। এখন তার খামারে দেশী ও বিদেশী প্রজাতির মোট ১০০টি ছাগল রয়েছে। যার বর্তমান আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা। নোমান জানান, সে তিন বছর আগে শখের বসে ১০ হাজার টাকায় দুটি ছাগল কিনে লালন-পালন করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে ছাগলদু’টি ছয়মাস পরপর দুটি করে মোট ৮টি বাচ্ছা দেয়।

পরে ওই ছাগলগুলি বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। এরপর সে সীদ্ধান্ত নেন ছাগলের খামার করে অনেক আয় করবেন। এরপর উপজেলা প্রাণী সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে একটি করে যমুনাপাড়ি, তোজাপাড়ি, হরিয়ান ও ব্লাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল ক্রয় করে মাচং পদ্ধতীতে খামার গড়ে তোলেন। এখন তার খামারে চার প্রজাতির মোট ১০০ টি ছাগল রয়েছে। বাড়ির পাশের পতিত জায়গায় আবাদ করেছেন হাইড্রোপ্রোনিক (মাটি ছাড়া ট্রেতে আবাদ করা ঘাস) ঘাস। এই ঘাস ছাগলের জন্য উৎকৃষ্টমানের খাবার।

তিনি আরো জানান, এই একটি মাত্র প্রাণী যা বছরে দুই বার প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিবার প্রজননে একাধিক বাচ্ছা দেয়। রোগ বালাইও কম। বছরে একবার পিপিআর, গডপক্স ভ্যাকসিন দিলেই কোন প্রকার ওষধ লাগেনা। তাই অল্প খরচে বেশী আয় করা সম্ভব। সেখানে একটি বিদেশী গাভী পালন করলে প্রতিদিন ৩শ’ টাকার খাবার খায়। সেখানে ৩’শ টাকা হলে প্রতিদিন ৩০ টি ছাগলকে খাওয়ানো যায়। ছাগলের খাদ্য হিসেবে খাওয়ানো হয় গম, ভুৃট্টা ও ছোলা বুটের গুড়ো সেই সাথে সয়াবিন ও খড়ের ছানি। যা ছাগলের জন্য খুবই পুষ্টিকর।

তিনি আরো জানান, দেশের বাজারে ছাগলের চাহিদার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যপক চাহিদা রয়েছে। তাই ছাগল রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা উপার্জন করা সম্ভব। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ জানান, আমরা নিয়মিত ওই ছাগলের খামারে প্রয়োজনী ঔষধ ও পরামর্শ দিয়ে দিচ্ছি। ছাগলের খামার করে নোমানের সফলতা দেখে এখন অনেকেই খামার গড়ে তোলার পরামর্শের জন্য আমাদের কাছে আসছেন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

আরো পড়ুন

হোয়াটসঅ্যাপে ভুলেও এই পাঁচটি কাজ করবেন না, সাবধান হোন, জেলও হতে পারে

ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিতান্তই কম নয়, কোটি কোটি মানুষের কথোপকথনের একটি সেরা মেসেঞ্জার অ্যাপ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *