জাতীয় শোক দিবসে বিতরণ করা খাবার খেয়ে কুমিল্লায় ‘শতাধিক’ মানুষ অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর পেয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে থেকে পাঠানো হয় মেডিকেল টিম। কুমিল্লার সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ৫ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শোক দিসক উপলক্ষে রোববার বিকেলে আমড়াতলী ইউনিয়নে রান্না করা তিন হাজার ৫শ’ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়। এতে ছিল পোলাও, মুরগির মাংস ও ডিম। যা খেয়ে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে সিমপুর, মাঝিগাছা, ভূবনঘর ও বানাশুয়া গ্রামের মানুষ অসুস্থ হতে থাকেন। রাতেই অধিকাংশরা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার ওষুধ কিনে খান। কিন্তু সকালে অবস্থা বেগতিক দেখে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ বিষয়ে আমড়াতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফ জাগো নিউজকে বলেন, বিতরণ করা খাবার আমার পরিবারের অনেকেই খেয়েছেন। তাদের মধ্যে শুধু ছেলে বমি ও পেট ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ায় পল্লী চিকিৎসক থেকে ওষুধ নিয়ে সে বর্তমানে সুস্থ আছে। গরম খাবার অতিরিক্ত সময় প্যাকেটে থাকায় এবং সেটা রেখে দিয়ে পরে খাওয়ায় কারণে কিছু মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। তবে এর সংখ্যা শতে ১০-১২ জন হবে বলে তিনি জানান।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মল হক বলেন, আমাদের খাবার খেয়ে কিছু মানুষ অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে কারও গুরুতর অবস্থা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রান্নার সময় কিছু ডিমে একটু সমস্যা হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ওই ডিম যারা খেয়েছেন তারাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাব্বানী বলেন, খবর পেয়ে আমরা আমড়াতলী এলাকায় গিয়ে ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে অসুস্থদের চিকিৎসা দিয়েছি। ৫ গ্রামে প্রায় শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়েছি।সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, অসুস্থতার খবর পেয়ে সকালেই আমড়াতলীতে একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।