করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না, এটাই বিধিনিষেধের প্রধান শর্ত। কিন্তু কঠোর লকডাউনের মধ্যে রাজধানীর অলিগলিতে সাধারণ মানুষের ঘোরাফেরা যে হিসেবে বেড়েছে দেখে মনে হচ্ছে যেন চলছে কোনো হাট-বাজার। সোমবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,হেঁটে, মোটরসাইকেলে, বাইসাইকেলে ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাইরে বের হয়েছে মানুষ। তবে, প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও পাড়া-মহল্লার ভেতরের রাস্তায় লোকজনকে নিয়মিত আড্ডা দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দোকানও অর্ধেক শাটার খোলা রেখে ব্যবসা করতে দেখা গেছে।
সড়কে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে বাইরে আসা মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যারা অকারণে বাইরে বের হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদিও চেকপোস্টগুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে ঢিলেঢালাভাব দেখা গেছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী মোড়, যাত্রাবাড়ী এলাকার অলিগলি পাড়া-মহল্লায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই মানুষ ও রিকশা, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন অবাধে চলাচল করতে দেখা যায়।
সড়কে যানবাহন বেশি কেন জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য বলেন, যারা বাইরে বের হচ্ছে, তারা প্রয়োজনীয় কারণ দেখিয়েই বের হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, কিছু কিছু অফিস খোলা রয়েছে। ফলে সড়কে মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে।
ঈদুল আজহা ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার। আট দিন বিরতির পর ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ফের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার, যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।