সৈন্যদের মধ্যে সাহস বীরত্ব এবং অনিবার্যতার অভাব নেই। তারা সর্বদা দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত। দু-র্ঘ-ট-না-র কারণে তারা তাদের দায়িত্ব থেকে কখনো বিরত থাকেন না। তাদের জুয়েল উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এই দু-র্ঘ-ট-না-র মুখোমুখি হন এ জাতির সেবায় পুনরায় যোগদান করেন। অভিষেক নির্মলকার এমনই একজন যিনি দু-র্ঘ-ট-না-য় উভয় পা হারানোর পরেও তার প্রফুল্লতা বজায় রেখেছেন।
প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও তার দেশ প্রেমিক চেতনা কমেনি এবং তিনি আবার দায়িত্ব পালনের ডিউটিতে সামিল হয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক অভিষেক নির্মলকার সম্পর্কে। অভিষেক মধ্যপ্রদেশের ভিলাই এর বাসিন্দা। তিনি পরিবারের সাথে ভিলাই তে থাকেন। অভিষেক এটিএস এ কর্মরত ছিলেন যখন তার সাথে এই দু-র্ঘ-ট-না-টি ঘটে ছিল এবং তিনি প্রতিদিন ভিলাই থেকে রায়পুরে যাতায়াত করতেন।
একবার তিনি দানাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন, হঠাৎ বগী কেঁপে ওঠায় তিনি সামলাতে না পেরে পড়ে যান। তার যখন জ্ঞান ফিরে তিনি নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পান। তার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে এবং অন্য পাও খারাপভাবে আ-ক্রা-ন্ত হয়েছিল এবং ডাক্তার বলেছিলেন জন্য পা টিও কেটে দিতে হবে। এই দু-র্ঘ-ট-না-র পরে অভিষেক হতাশা শিকার হলেও তার স্ত্রী এবং তার পরিবার তাকে সমর্থন এবং অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
তার বৃদ্ধ বাবাও তাকে অনেক সমর্থন করেছিলেন। অভিষেকের স্ত্রীকে প্রাথমিকভাবে বলা হয়নি যে উভয় পা অক্ষম ছিল, তাকে বলা হয়েছিল যে কেবলমাত্র একটি পায়ের সামান্য আঘাত এসেছে। দশ পনেরো দিন পরে তিনি জানতে পারেন যে অভিষেকের দুটি পা কেটে ফেলা হয়েছে তারপরও তিনি কাঁদতে শুরু করেন। কিন্তু সে খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়ে অভিষেককে সাহস দিতে শুরু করে। অভিষেকের বাবা প্রতিদিন বাঁচার এবং এগিয়ে যাওয়ার আশা দেখাতেন অভিষেককে।
সে প্রায় একমাস এইমস রায়পুরের ভর্তি ছিলেন। তার দের বছরের কর্ণ অভিক্ষা এবং পুত্র অভিমুন্য কে দেখে তার খুব খারাপ লাগত। দুর্ঘটনার পরে হাল না ছেড়ে অভিষেক কৃত্রিম পায়ের সাহায্যের সাথে হাঁটার অনুশীলন শুরু করেছিল। 6 মাস ধরে তিনি কৃত্রিম পা এর
সহায়তায় হাঁটা শেখেন। এটিএস অফিসাররাও তাকে সমর্থন করেছে এবং তাকে ডিউটিতে ফের যোগদানের অনুমতি দিয়েছিলেন। এখন অভিষেক মোটরসাইকেলে ডিউটিতে যায় এবং সে মতে চালানোরও অনুশীলন করেছে। এই সাহসী সৈন্যের জন্য পুরো ভারত তাকে সালাম জানায়।।